এবার সেনাবাহিনীর চাকরি থেকে অব্যাহতি পাওয়া আলোচিত মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান বলেছেন, ৭ আগস্ট আমাকে তুলে নেওয়া হয়। আমি আটদিন ধরে আয়নাঘরে ছিলাম। আয়নাঘর আমার সৃষ্টি না। আমি নির্দোষ। আজ শুক্রবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাতুল রাকিবের আদালতে রিমান্ড শুনানি চলাকালে বিচারককে এসব কথা বলেন তিনি।
এদিন মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা তাকে আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দশদিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। এসময় আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাতুল রাকিব তার আটদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে বিকেল ৪ টা ৫০ মিনিট তিনি আদালতে পৌঁছান। বিকেল ৪টা ৩৫ মিনিটের দিকে ডিবি কার্যালয় থেকে তাকে আদালতের উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়। সচেতন নাগরিক হিসেবে শুনানিতে এক আইনজীবী বলেন, আজকের আসামি অমানুষ। আয়নাঘরের কারিগর। জনগণের গলাচিপে ধরেছেন। হাজার হাজার গুম-খুনের সঙ্গে জড়িত।
এ সময় জিয়াউল আহসানের আইনজীবী নাজনীন নাহার বলেন, আয়নাঘর সম্পর্কে সবাই জানেন। আয়নাঘর উনার সৃষ্টি এটা সত্য নয়। আয়নাঘরে তিনি অলরেড়ি আটদিন থেকে আসছেন। সেনাবাহিনীর কোনোকাজ করতে হলে প্রধানের অনুমতি নিতে হয়। তাই আসামিকে জামিন দেওয়ার জন্য আবেদন করছি। গত ৬ আগস্ট তিনি অবসর নিয়েছেন। ৭ আগস্ট থেকে তিনি আয়নাঘরে ছিলেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) গভীর রাতে ঢাকার খিলক্ষেত এলাকা থেকে জিয়াউল আহসানকে গ্রেফতার করা হয়। পরে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় দোকান কর্মচারী শাহজাহান আলীকে (২৪) হত্যা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। ২০২২ সালের ৫ সেপ্টেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক আদেশে মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানকে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) মহাপরিচালকের (ডিজি) দায়িত্ব দেওয়া হয়।